দিন কয়েক হল তৃণমূলের শুরু হয়েছে স্বচ্ছতা অভিযান। দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বহিষ্কার করা শুরু করেছে তৃণমূল। কেউ সরাসরি হাতে পাচ্ছেন বহিষ্কারের চিঠি, কাউকে আবার ধারানো হচ্ছে শো-কজ লেটার। দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ঠিক একই কথা বললেন কলকাতার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূলের থেকে জনসেবার বদলে নিজের সেবা করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানালেন তিনি।
এদিন ফিরহাদ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে মানুষের জন্য কাজ করা। কেউ যদি তৃণমূলে থেকে জনসেবার বদলে নিজের সেবায় ব্যস্ত থাকে তবে দলে তার কোনও জায়গা নেই।
সম্প্রতি আমফানের ত্রাণ ও লকডাউনের রেশন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে জনতাকে। পথে নেমেছে বিরোধী বিজেপি-সিপিএম। বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। অবশেষে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে তৃণমূল।
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে যাদের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তাদের কথা কেন মানবেন নিচুতলার কর্মীরা? দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন সেই ফিরহাদ হাকিম নারোদা কাণ্ডে অভিযুক্ত। এতদিনেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?