বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > শীতের দুমাস বৃষ্টিই হল না কলকাতায়, ব্যাপারটা কী অন্যরকম? যা বললেন আবহাওয়াবিদরা

শীতের দুমাস বৃষ্টিই হল না কলকাতায়, ব্যাপারটা কী অন্যরকম? যা বললেন আবহাওয়াবিদরা

শীতের সকালে কলকাতার পার্ক ফাইল ছবি (PTI Photo/Swapan Mahapatra) (PTI)

শীতকালে বৃষ্টির কিছুটা সুবিধাও রয়েছে। শীতকালে বৃষ্টি হলে অনেক সময় বাতাসে দুষণের মাত্রা কিছুটা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শীতকালে বাতাসের উপরের স্তরে দুষণের উপাদান জমতে থাকে। তবে ধীরে ধীরে তা বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়

শীত প্রায় যাব যাব করছে। রোদের তাপও ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ডিসেম্বর, জানুয়ারি পর পর দুটো মাস চলে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই বঙ্গে। বিগতদিনে শীতকালে মাঝেমধ্যে ফিসফিস করেও বৃষ্টি হয়েছে। এরপর রোদ বের হলে ফের নতুন করে শীত পড়েছে। কিন্তু এবার আবহাওয়ার পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। এবার আর শীতকালে বৃষ্টির দেখা নেই। গোটা শীত চলে যেতে চলল। কিন্তু বৃষ্টি হল না।

আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের মতে, এমন ধরনের শীতকাল অতীতে বিশেষ দেখা যায়নি। গোটা শীতকালটাই বৃষ্টিহীন অবস্থায় কেটে গেল।

এদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে অনেক সময় জানুয়ারির মাঝামাঝি বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার সেটাও হয়নি। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত মাসে একাধিকবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছিল। তার জেরে মেঘ ও কুয়াশাও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কুয়াশা আর মেঘের উপর দিয়েই দিনগুলো কেটে যায়। কিন্তু শীতকালীন বৃষ্টির আর কোনও ব্যাপার নেই।

সাধারণত মকর সংক্রান্তির সময় প্রতিবারই বঙ্গে বৃষ্টি হতে থাকে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার আর সেই পরিস্থিতি নেই। এবার বৃষ্টি হল না বঙ্গে। মকল সংক্রান্তি কেটে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হল না বাংলায়।

অনেক সময় বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খন্ডের আকাশেও মেঘ তৈরি হয়। সেই মেঘ উড়ে আসে বাংলায়। সেই মেঘ থেকে হালকা বৃষ্টির প্রবণতা থাকে শীতকালে। তবে এবার আর সেই পরিস্থিতিও তৈরি হল না। ঠান্ডা এল, কুয়াশা এল কিন্তু বৃষ্টি এল না। বৃষ্টিহীনই থেকে গেল গোটা শীতকাল।

তবে আর এমসির ডিরেক্টর জিকে দাস একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মধ্য়ভারতে এবার এই সিস্টেমটা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটি থেকে বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিটা খুব স্বাভাবিক নয়।

এদিকে শীতকালে বৃষ্টির কিছুটা সুবিধাও রয়েছে। শীতকালে বৃষ্টি হলে অনেক সময় বাতাসে দুষণের মাত্রা কিছুটা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শীতকালে বাতাসের উপরের স্তরে দুষণের উপাদান জমতে থাকে। তবে ধীরে ধীরে তা বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়। কিন্তু এবার শীতকালে সেই সুযোগটাই তৈরি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় দুষণ কমার সুযোগ হয়নি এবার শীতকালে। তবে অন্যদিকে শীতকালে বৃষ্টির বৃদ্ধি পেলে আবার রবিশষ্যের চাষে সমস্যা তৈরি হয়।

 

বাংলার মুখ খবর

Latest News

ভারতের মুকুটে নয়া পালক, প্রথম উড়ানে সফল 'মেড ইন ইন্ডিয়া' মার্ক ১এ যুদ্ধবিমান অঞ্জলি চক্র এবং সুফি মালিক কারা? বিয়ের আগেই কেন বিচ্ছেদ হল তাঁদের ED তার কাজ করছে, আমি আমার কাজ করছি, হাজিরা এড়িয়ে হুঙ্কার মহুয়ার লোকসভার আগে মহাজোটে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল Heart Care: এই ফলটি হার্টের নাকি খুব ভালো! আপনি কি এটি খান? আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, বড় তথ্য ফাঁস করল তৃণমূল কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলার শাস্তি? সুপ্রিয়াকে লোকসভা ভোটের টিকিট দিল না কংগ্রেস! লোকসভা ভোটে বহরমপুরে বাজিমাত করতে পারে BJP, হারতে পারেন দিলীপ, মহুয়া: সমীক্ষা আসন্ন নতুন বাংলা বছর ১৪৩০, নাকি ১৪৩১? পয়লা বৈশাখ কবে? রইল নববর্ষের খুঁটিনাটি

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.