সম্প্রতি বাংলা সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জেপি নড্ডা। সফরে এসে দেখা হল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে আলাদা করে কোনও বৈঠক হয়নি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করা হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, নড্ডার সফরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হতে পারে। সেখানে চিঠির প্রসঙ্গও উঠতে পারে। তা যে ওঠেনি, সেকথা নিজেই জানিয়েছেন দিলীপবাবু।
বঙ্গ সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এই রাজ্যের নেতাদের নিয়ে নিউটাউনের হোটেলেই আড্ডায় বসেন। সেই আড্ডায় অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষও। বুধবার সকালে যখন চন্দননগর ও চুঁচুড়ায় গিয়েছিলেন তখন তাঁর সঙ্গী ছিলেন দিলীপবাবু। এরপর জাতীয় গ্রন্থাগারে দলের কার্যকারিনী সমিতির বৈঠকেও রীতিমতো উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। জানা যায়, সব কর্মসূচি সেরে যখন বিজেপির সর্বভারতীয় জেপি নড্ডা যখন দিল্লিতে রওনা দিচ্ছিলেন, তখন দিলীপবাবুকে নড্ডা প্রশ্ন করেন, এরপরে কবে দেখা হবে। তাঁর উত্তরে দিলীপবাবু জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি দিল্লিতে দেখা হবে।
কিছুদিন আগে হত ৩১ মে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি এসেছিল। চিঠিটি জে পি নড্ডা নিজে লেখেননি।সেখানে অবশ্য দলের সাধারণ সম্পাদক অরুন সিংয়ের সই রয়েছে। দিলীপ অনুগামীরা মনে করেছিলেন, নাড্ডার এই সফরে হয়ত দিলীপ ঘোষের সঙ্গে নড্ডার আলাদা করে কোনও কথা হবে। হয়ত দিলীপবাবু তাঁর অভিযোগের কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। কিন্তু তেমন কোনও কিছুই ঘটল না। উল্লেখ্য, চিঠিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দিলীপবাবুকে বলা হয়, ‘আপনার কিছু বিবৃতি ও ক্ষোভ প্রকাশ করা মন্তব্যে রাজ্য নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিড়াম্বনায় পড়েছেন। আপনার মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আপাতত সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারবেন না।’