টানা দেড়ঘণ্টার বৈঠক শেষেও মিলল না সমাধানসূত্র। ফের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে রাজীবের বৈঠক শেষে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকেই এমন জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিনের আলোচনার রিপোর্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরই পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে।
কয়েকদিন ধরেই রাজীবের কথাবার্তায় দলের ভেতর বাড়ছিল অস্বস্তি। তাঁর ক্ষোভ সামাল দিতেই এদিনের বৈঠক। কিন্তু এদিনও জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বনমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব তথা মহাসচিব বৈঠক করার জন্য ডেকেছিলেন। আমি বৈঠকে যোগ দিয়েছি। আগামী দিনে দলের রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বেশি তো কিছু সংবাদমাধ্যমের কাছে বলার জন্য নয়।’
একদিনের আলোচনাই নয়, এর পরেও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘আগামী দিনে কী করা যায় সেই রূপরেখা এদিন তৈরি হয়েছে। পরেও আলোচনা হবে।’ বৈঠক শেষে দলীয় সূত্রে একই কথা জানা গিয়েছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের কিছু নেতার দুর্নীতি ও স্তাবকতা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের কাছে এদিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন মূলত রাজীবের বক্তব্য, অভিযোগ শুনতে চেয়েছিলেন পার্থ ও প্রশান্ত কিশোর। এদিনের বৈঠক নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট দেবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরই পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য করা হবে।
এদিন অনেকটাই নরম সুর দেখা গেল রাজীবের মুখে। তিনি এদিন বলেন, ‘দলের মধ্যে যদি কোনও ক্ষোভ থাকে সেটা নিশ্চিতভাবে আলোচনার মধ্যেই মিটবে বলে বিশ্বাস করি।’ তবে এদিনের আলোচনা ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত দেননি রাজীব। তিনি বৈঠক শেষে শুধু বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলার নেই।’