তিনজনের 'সিমেন'-র নমুনা মেলেনি। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এবং হাসপাতালে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, 'এখন নানারকম, নানা ধরনের গুজব চারিদিকে চলছে। একাধিক লোক যুক্ত আছে। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনজনের সিমেন পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো গুজব। আমরা ওঁদের (আন্দোলনকারীদের) জানিয়েছি। ওঁদেরও এইসব বিষয়ে প্রশ্ন ছিল যে দু'জনের নাকি তিনজনের সিমেন পাওয়া গিয়েছে, কাউকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা। আমরা এই মামলার তদন্তভার একেবারে স্বচ্ছভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যদি কারও কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সেটার সমাধান করব।'
'কোনও সন্দেহ থাকলেই পুলিশের কাছে আসুন'
রবিবার আরজি করে দাঁড়িয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পড়ুয়াদের যে যে দাবি ছিল, তা নিয়ে ওঁদের (আন্দোলনকারীদের) সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা মনে করি যে ওঁরা সন্তুষ্ট হয়েছেন। যদি ওঁদের কোনও বিষয় নিয়ে সন্দেহ বা ধন্দ থাকে, তাহলে ওঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এটা শুধু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য নয়। সকলের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য সেটা।’
হেল্পলাইন ও ইমেল আইডি দেবে পুলিশ
সেইসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হচ্ছে। সেখানে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। নাম গোপন রেখেই যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। সেইমতো পদক্ষেপ করা হবে। যিনি অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁর পরিচয় গোপন থাকবে। একটি ইমেল আইডিও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
কর্মবিরতি অবশ্য উঠছে না
আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যে এখনই কর্মবিরতি উঠছে না। যতক্ষণ না তাঁদের চারটি দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, আরজি করের ২২ বছরের মহিলা চিকিৎসকদের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে অবিলম্বে।
সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন যে ১২ ঘণ্টার (বিকেলে ঘোষণা করা হয়) মধ্যে ইস্তফা দিতে হবে আরজি কর হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্তাদের। চাইতে হবে ক্ষমা। মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য প্রদান করতে হবে। আর তদন্ত কতটা এগোচ্ছে, তা আন্দোলনকারীদের রোজ জানাতে হবে কলকাতা পুলিশকে।