জয়নগরের নিহত ৯ বছরের শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন কোনও হাসপাতালে। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে একথা জানালেন নির্যাতিতার বাবা। শনিবার সন্ধ্যায় দেহ কাঁটাপুকুর মর্গে পৌঁছনোর পর দেহ সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুর বাবার দাবি মেনে দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - 'ছোট্ট বাচ্চাটাকে নরপিসাচগুলো কামড়ে কামড়ে খেয়েছে,এরাজ্যে সবাই মরে যাওয়াই ভালো'
পড়তে থাকুন - শহরের প্রাণকেন্দ্রে চিকিৎসকদের মাথায় করে তক্তাপোষ টানতে বাধ্য করল কলকাতা পুলিশ
আরজি কর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে উঠেছে বহু প্রশ্ন। এমনকী নির্যাতিতার পোশাক ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের কাছে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছে সিবিআই। তার পর জয়নগরের ঘটনায় প্রথম থেকেই দেহ সংরক্ষণের দাবিতে সরব ছিল বিরোধীরা। শনিবার দুপুর থেকে সেকথা জানিয়ে বার বার নির্যাতিতা শিশুর বাবার সঙ্গে দেখা করেন বাম ও বিজেপি নেতারা।
শনিবার বিকেলে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে দেহের সুরতহালের পর দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে। সেখানেও দেহ সংরক্ষণের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সন্ধের পর দেহের ময়নাতদন্ত হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নির্যাতিতার বাবার আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পরিচালিত কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে তাঁর আস্থা নেই। নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাতে হবে। সেজন্য মেয়ের দেহ সংরক্ষণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেকথা জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও জয়নগর থানার আইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মৌখিকভাবে দেহ সংরক্ষণে সম্মতি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের পর বিনীত গোয়েলের ‘কনফিডেন্স’ জয়নগর কাণ্ডে বারুইপুরের SPর মুখে
রবিবার নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। তবে ময়নাতদন্ত কোথায় হবে তা এখনও জানা যায়নি।