পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে গভীর নিম্নচাপটি। মঙ্গলবার দিনভর শক্তি সঞ্চয় করে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঝড়টি। তবে ঝড়টির পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।
এই ঝড়ের জেরে ২৫ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। দিন যত গড়াবে তত বাড়বে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা। ২৬ মে জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী ও কোথাও কোথাও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৬ ও ২৭ মে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত হবে। ২৬ মে উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণ হবে। ২৭ মে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী ও কোথাও কোথাও প্রবল বর্ষণ হতে পারে।
২৪ মে সন্ধ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। সেদিন ঘণ্টায় ৪০ – ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। মাঝে মাঝে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেও পৌঁছতে পারে। ধীরে ধীরে বাড়বে হাওয়ার গতি। ২৫ মে সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ৫০ -৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে উপকূলে। সর্বোচ্চ গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারে। ২৬ মে সকালে বাতাসের গতি থাকবে ৬০ – ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২৬ মে দুপুরে হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছবে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝড়ের তীব্রতা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। ২৬ মে সন্ধ্যার পর ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। পশ্চিমবঙ্গে এই ঝড়ের আঘাত হানার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। তাই আগামী ২৩ মে সকালের মধ্যে সমস্ত মৎস্যজীবীদের বন্দরে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঝড়ের তীব্রতা আমফানের থেকে কম হবে।