আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘দুর্নীতি–মাফিয়া চক্র’ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী এই কথা জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবন তরফে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এই চিঠি দিয়েছেন ডেপুটি সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাকে।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যসচিবের ইমেল করেছে। তার জেরেই আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকের সূত্রপত। এখন সেখানে চলছে বৈঠক। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি এবং মাফিয়া রাজ নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর থেকেই একে একে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার মাঝে আরও চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারের উপর। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিবিআই তদন্ত নিয়ে চিঠি দিয়ে।
আরও পড়ুন: বিজেপির ধর্মতলার ধরনা শেষ, আন্দোলন জিইয়ে রাখতে একগুচ্ছ কর্মসূচি, সরকার উৎখাতের ডাক
আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। এই আবহে এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে রাজভবনের ওই চিঠির বিষয়টি উল্লেখ করে রাজু বিস্তা লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কেমন করে মাফিয়া রাজ চালাচ্ছেন আমি সে বিষয়ে মাননীয় রাজ্যপালকে অবগত করেছিলাম।’ আর তারপরই উত্তরবঙ্গের কলেজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের দাবি করে চিঠি পৌঁছে গেল নবান্নে। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই চিঠি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এছাড়া উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তনী এবং আইএমএ’র শিলিগুড়ি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বহিরাগতরা ভয় দেখিয়ে ‘মাফিয়া রাজ’ কায়েম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর তার পরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এই পদক্ষেপ। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ট অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গে লবি করার অভিযোগ উঠেছে। দু’জনের বিরুদ্ধেই নানা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দাদাগিরি করার অভিযোগ আছে। তাঁদের রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও সাসপেন্ড করেছে।