ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নয়। এই নির্বাচনে জিততে লড়তে হবে কোভিডের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কর্মিসভায় এমনই বললেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ভবানীপুর উপনির্বাচন উপলক্ষে রবিবার বিকেলে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানেই কর্মীদের বোঝানো হয় প্রচারের 'নিয়ম'। কোভিডের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট প্রচার করতে গিয়ে অতিউত্সাহে কোভিড বিধই যাতে না ভাঙা হয়, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয় কর্মীদের। নেতৃত্বের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপি নয়, এই নির্বাচনে মমতার সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কোভিড।
প্রচারের ক্ষেত্রে মিছিল বা সমাবেশ করতে যে সংযত থাকতে হবে, সেই নির্দেশ দিয়ে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, 'করোনা সংক্রমণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমাদের লক্ষ্য হবে, ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে প্রচার করা। ভোটের দিন করোনা বিধিনিষেধ মেনে নিজের নিজের পার্টের ভোটারদের ভোটদান কেন্দ্রে এনে সুষ্ঠুভাবে ভোটদান করানো। সবক্ষেত্রেই আমরা কমিশনের করোনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানব।'
এদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে চাইছেন অনেকে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন অনেকে। তবে এবার করোনা সংক্রমণের কারণে যে বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে কমিশনের তরফে, তার জেরে আমরা ভবানীপুরে বাইরের কোনও নেতাকে আসতে বারণ করে দিয়েছি।' এদিকে সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা দেবাশিস কুমারও। কর্মীদের তিনি বলেন, 'কোনও প্রার্থী নির্দেশ ভেঙে প্রচার করলে তাঁকে আর প্রচারই করতে দেওয়া হবে না। তাই কোনও ভাবেই প্রচারে বিধি নিষেধ ভাঙা যাবে না।'
কমিশনের নিয়ম বলছে, প্রচারসভায় সর্বোচ্চ ৫০ জন জমায়েত করতে পারবেন। অপরদিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে পাঁচজনের বেশি যেতে পারবেন না। তাই প্রত্যেক বুথ এবং পার্টের দায়িত্ব থাকা নেতাদের প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা, 'এবার আর আগের মতো প্রচার করা যাবে না। বড় সভা করা যাবে না, তাই প্রচারের দায়িত্ব বর্তামে নিচুতলার কর্মীদের উপরই।'