বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court: FIR বা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রতিলিপি না দেওয়া আইনের অপব্যবহার: হাইকোর্ট

Calcutta High Court: FIR বা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রতিলিপি না দেওয়া আইনের অপব্যবহার: হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্ট।

জিৎ মান্না নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন। জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ মে ওই ব্যক্তির মা আরতি মান্না, স্ত্রী শম্পা মান্না এবং ছেলে একটি অটোতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে অটোর। এর ফলে ঘটনাস্থলে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়।

কোনও অভিযোগকারীকে এফআইআর বা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রতিলিপি না দেওয়া হল আইনের অপব্যবহার করা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। সেই মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

মামলার বয়ান অনুযায়ী, জিৎ মান্না নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন। জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ মে ওই ব্যক্তির মা আরতি মান্না, স্ত্রী শম্পা মান্না এবং ছেলে একটি অটোতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে অটোর। এর ফলে ঘটনাস্থলে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মা মারা যান। তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছিল জোকাতে। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তিনি জানতে পারেন ক্ষতিপূরণের মামলাও করা যেতে পারে। এর জন্য পুলিশের কাছে এফআইআর এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে বারবার পুলিশের কাছে আবেদন করেন। এর জন্য তিনি একাধিকবার বিষ্ণুপুর, আনন্দপুর এবং ঠাকুরপুকুর থানায় যোগাযোগ করেন। কিন্তু, কোথাও তিনি সেই রিপোর্ট পাননি। শেষে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

কলকাতা হাইকোর্ট তদন্ত শেষ করার জন্য পুলিশকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। পাশাপাশি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও জমা দিতে বলেছে বিচারপতি শম্পা দত্ত বলেন, ‘ওই ব্যক্তির এখনও প্রশাসনের উপরে বিশ্বাস রয়েছে। আশা হারাননি। তাই পুলিশের এই ধরনের আচরণ মোটেই কাম্য নয়।’ পুলিশকে আরও সংবেদনশীল হতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের রায় নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। কারণ এর আগে পুলিশ যে চার্জশীট দিয়েছিল তাতে মৃতদের তালিকায় তাঁর মা এবং সন্তানের নাম ছিল না। এর জন্য আবেদনকারীর বেশ কয়েকবার আলিপুর আদালতেও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন