শুধু কার্তুজ নয়, বৈধ দোকান থেকে বেআইনিভাবে বিক্রি হয়েছে রাইফেলও, গ্রেফতার আরও ১

তদন্তে উঠে আসে শান্তনু সরকারের নাম। জানা গিয়েছে, শান্তনু সরকারের মাধ্যমেই বৈধ অস্ত্রের দোকান থেকে বেআইনিভাবে অস্ত্রটি কিনেছিলেন ফাহরুখ মল্লিক। এর পরই রবিবার রাতে চম্পাহাটিতে শান্তনু সরকারের বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা।

শুধু গুলি নয়, বিবাদী বাগে বৈধ অস্ত্রের দোকান এনসি দাঁ অ্যান্ড কোম্পানি থেকে বেআইনিভাবে বিক্রি হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। চাঞ্চল্যকর এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার সকালে। দোকানের আরও ১ কর্মীকে গ্রেফতার করার পর এই তথ্য জানতে পেরেছেন বেঙ্গল STFএর কর্মীরা। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি থেকে শান্তুনু সরকার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন STFএর গোয়েন্দারা। এই নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৬।

কার্তুজকাণ্ডে শনিবার রাতে বসিরহাট থেকে ফাহরুখ মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১টি ডবল ব্যারেল রাইফেল ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ। অস্ত্রটি পরীক্ষা করে জানা যায় সেটিও বিবাদী বাগের এনসি দাঁ অ্যান্ড কোম্পানি থেকে কেনা। তবে কোনও লাইসেন্স ছাড়াই কেনা হয়েছে অস্ত্রটি। এর পরই তদন্তে উঠে আসে শান্তনু সরকারের নাম। জানা গিয়েছে, শান্তনু সরকারের মাধ্যমেই বৈধ অস্ত্রের দোকান থেকে বেআইনিভাবে অস্ত্রটি কিনেছিলেন ফাহরুখ মল্লিক। এর পরই রবিবার রাতে চম্পাহাটিতে শান্তনু সরকারের বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

বেআইনি কার্তুজকাণ্ডে শনিবার বিকেলে বিবাদী বাগের এনসি দাঁ অ্যান্ড কোম্পানিতে অভিযান চালায় STF. বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেখানকার রেজিস্টার। কী ভাবে গুলি ও অস্ত্র দোকান থেকে দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছল তা জানতে সোমবার দুপুরে দোকানের কয়েকজন মালিক ও কর্মচারীকে লালবাজারে তলব করেছেন গোয়েন্দারা।

বলে রাখি, বিবাদী বাগের এই দোকান বহু পুরনো। লালবাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই দোকান থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে অস্ত্র ও কার্তুজ বিক্রি করা হলেও কেন তা গোয়েন্দাদের নজরে আসেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, অন্য বৈধ অস্ত্রের দোকানেও একই ধরণের কারবার চলছে না তো? ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ধৃত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ পাওয়া গিয়েছে। ফলে তদন্ত কতদূর এগোবে তা নিয়েও সন্দিহান বিরোধীরা।