হাতে গোনা আর পাঁচটি দিন। তারপরই বড়দিন। উৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট ইতিমধ্যেই আলোর রোশনাইয়ে ভেসে গিয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর সেখানে ভিড় উপচে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ভিড়ে যদি করোনাভাইরাস হয়! এই আশঙ্কা যখন কাজ করছে তখন করোনাভাইরাস মুক্তির পথে এগিয়ে গেল বাংলা। তিন বছরের টানা লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। পজিটিভিটি রেট শূন্য। যা নিঃসন্দেহে গোটা বাংলায় আমজনতার ঢল নামাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে স্কুল ছুটি পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে। এটা শীতকালীন ছুটি। যা চলবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই মাঝের সময়ে মানুষজন নানা জায়গায় ঘুরতে যাবেন। সেটা চিড়িয়াখানা থেকে শুরু করে পার্ক স্ট্রিটে হওয়া বড়দিন এবং বর্ষবরণ। সুতরাং ভিড় বাড়বে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। তাই গোটা রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতা মুড়ে যাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। ইতিমধ্যেই পার্ক স্ট্রিটে ঘুরে গিয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
অন্যদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে এই মারণ ভাইরাস গোটা বিশ্বের কাছে আতঙ্কের হয়ে উঠেছিল। বাংলা তার থেকে বাদ যায়নি। গোটা দেশকে লকডাউন সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল। সেখানে তিন বছর পর এই প্রথম গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি একজনও। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্বস্তির খবর। তাই বলা যেতে পারে বাংলা এখন করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত।
ঠিক কী বলছেন চিকিৎসকরা? একাধিক চিকিৎসক করোনাভাইরাস মুক্ত বাংলাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিধি এখনও মানা উচিত বলে তাঁরা মনে করেন। অর্থাৎ মাস্ক এখনও ব্যবহার করা উচিত বলেই তাঁদের পরামর্শ। কারণ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন ২০,৯৬,৯৭৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৯৮ শতাংশ। আর রাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২১,৫৩১।