সম্প্রতি সোনাগাছির যৌনপল্লীতে খদ্দেরদের লুটপাঠ করার অভিযোগ ওঠে। টাকা থেকে গয়না লুট করা হয় বলে অভিযোগ যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকী এই নিয়ে বড়তলা থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। তাতে যৌনকর্মীদের আটক করে খদ্দেরদের মূল্যবান জিনিসপত্র–সহ নগদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পর এবার সোনাগাছিতে সিসিটিভি বসাতে চলেছে কলকাতা পুলিশ বলে সূত্রের খবর। আর তাতে নারাজ যৌনকর্মীরা।
কেন এই সিসিটিভির প্রয়োজনীতা? অনেক সময় খদ্দেদের লুট করে যৌনকর্মীরা। আবার যৌনকর্মীদের খুন করার ঘটনাও ঘটে সোনাগাছিতে। দুটি ক্ষেত্রেই অপরাধীকে ধরতে সাহায্য করবে এই সিসিটিভি। তাই আবার বড় কোনও অপরাধ যদি সোনাগাছিতে ঘটে, তখন খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে এই সিসিটিভির ক্যামেরা। এবার আর এমন ঘটনা ঘটবে না বলে মনে করছে অনেকে।
পুলিশ ঠিক কী জানাচ্ছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বড়তলা থানার উদ্যোগে সোনাগাছির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে এবার বসছে ৩০টি সিসিটিভির ক্যামেরা। যৌনপল্লি সোনাগাছিতে হচ্ছে বেশ কিছু অপরাধ। তার কিনারাও করছে পুলিশ। তবে সেটা কঠিন হয়ে পড়ছে। পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ২০২০ সালে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে দু’টি ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হয়। তাই এলাকায় সিসিটিভির প্রয়োজন। তাই বসানো হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? যৌনপল্লি লাগোয়া বহু বাড়িতে ঘণ্টাপিছু ঘর ভাড়া নিয়ে বাইরে থেকে যুগল আসে। অপরাধ সেখান থেকেও ঘটে। তাই অপরাধীর সন্ধান পেতে যাতে পুলিশকে সমস্যা না পড়তে হয়, তার জন্যই সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে সোনাগাছি অঞ্চলের অবিনাশ কবিরাজ লেন, ইমাম বক্স লেন, গরানহাটা–সহ প্রবেশ ও বেরনোর রাস্তায় ৩০টি জায়গা শনাক্ত করা হয়। সেখানে বসানো হচ্ছে ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা।