একাধিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জমজমাট ছিল রবিবারের রাজ্য রাজনীতি। একদিকে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও হলদিয়ায় মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল আর সমাবেশ। আর অন্যদিকে মহিষাদলে এক অরাজনৈতিক সভায় ছিলেন সদ্য মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিকেই এদিন ‘গৃহযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সামনেই ভোট। ৭ ডিসেম্বর থেকে জেলায় জেলায় নির্বাচনী প্রচারে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পাল্টা বিজেপি–র রণকৌশল কেমন হবে তা জানতে চাওয়া হলে কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা কারও পাল্টা করি না। এখন আমাদের পাল্টা করে তৃণমূল। অমিত শাহ বাঁকুড়ায় গিয়ে আদিবাসী বাড়িতে কলাপাতায় খাওয়াদাওয়া করেছেন। আর তার পর তার অনুকরণ করেছেন দিদি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ ভাত দেয়নি।’
২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসন হারানোর পর ২০২১–এর বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পিকে–র কাজবাজ নিয়ে দলের বিধায়ক থেকে সাংসদ অনেকেই আপত্তি তুলে বেসুর গাইছেন। এদিন তৃণমূল ও পিকে–র যুগলবন্দিকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে দল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়তো এবার কোথাও কোথাও আওয়াজ উঠতে পারে— পিকে হঠাও, তৃণমূল বাঁচাও।’
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, ‘বাঁকুড়ার আদিবাসীদের অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে পাঁচতারা হোটেলের বিরিয়ানি এনে অমিত শাহকে খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু আমার জানা নেই যে বাঁকুড়ার কোথায় পাঁচতারা হোটেল রয়েছে কিনা। বিরসা মুন্ডাকেও ওঁরা অপমান করেছেন।’