বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > TMC: এবার ব্লক সভাপতি পদে রদবদল, জোর তৎপরতা শুরু তৃণমূল কংগ্রেসে

TMC: এবার ব্লক সভাপতি পদে রদবদল, জোর তৎপরতা শুরু তৃণমূল কংগ্রেসে

তৃণমূল কংগ্রেস। (ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

জানা গিয়েছে, এই কাজে তৃণমূল কংগ্রেসকে সহযোগিতা করছে রাজনৈতিক পেশাদার সংস্থা আইপ্যাক। ১ অগষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করেছে জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা। এবার ব্লক সভাপতি পদেও বড় রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কারও নাম বিবেচনার প্রশ্নই নেই।

সদ্য জেলা সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। এবার দলের সংগঠনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে কয়েকদিনের মধ্যে ব্লক সভাপতিদের নামের নতুন তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন ব্লকের সভাপতি পদে যোগ্য এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তিকে খোঁজার কাজ চলছে। বগটুই কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েই ব্লকস্তরে পরিবর্তন আনতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই জেলা সংগঠনে সভাপতি ও চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা হয়েছে।

কেন এই পরিবর্তন হচ্ছে?‌ জানা গিয়েছে, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন একেবারে স্থানীয় ইস্যুর উপর নির্ভর করে। তাই ব্লক সভাপতি বাছাইয়ের আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিটি জেলার ব্লকের দায়িত্বশীল কর্মী সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্লক সভাপতিদের ক্ষেত্রে জেলা থেকে পাঠানো সুপারিশ শীর্ষ নেতৃত্ব মেনে নেবেন সেটা হচ্ছে না। মানুষের জন্য কাজ করেন, ভদ্র–নম্র ব্যবহার আছে, কাজে দক্ষতা আছে এবং যাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে তাঁকেই ব্লক সভাপতি হিসাবে বেছে নেওয়া হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বুথের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সৎ, পরিশ্রমী, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন কর্মীকেই ব্লক সভাপতি করা হবে। তাই নিজস্ব সূত্র মারফৎ ব্লক সভাপতি পদে সম্ভাব্য ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা সভাপতি যে নাম প্রস্তাব করবে তার সঙ্গে মিল আছে কিনা তাও দেখা হবে। এরপর শহরের ক্ষেত্রেও একই ফর্মুলা কাজ করবে। সেক্ষেত্রে নজরে থাকবে লোকসভা নির্বাচন।

কারা এই খোঁজ নিচ্ছে?‌ জানা গিয়েছে, এই কাজে তৃণমূল কংগ্রেসকে সহযোগিতা করছে রাজনৈতিক পেশাদার সংস্থা আইপ্যাক। ১ অগষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করেছে জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা। এবার ব্লক সভাপতি পদেও বড় রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কারও নাম বিবেচনার প্রশ্নই নেই। বিজেপি বিরোধিতা এখন চরমে তোলা হয়েছে। তাই রবিরার তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক ভারতবাসীর পাকা বাড়ির বিষয়টি মোদীর শুধু একটা ফাঁকা আওয়াজ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি।

বন্ধ করুন