পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠলেও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়ল না বিজেপি। সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন দলীয় কার্যালয় থেকে সাইকেলে করে অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন, ‘এখন সাইকেলে যাচ্ছেন। এরপর পায়ে হেঁটে যাবেন। এতে শরীর মন ভালো থাকবে।’
এদিন তৃণমূলকে নিশানা করেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কখনও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বিরোধী দলেরও একটা জায়গা আছে সেটা কখনওই বিশ্বাস করতে তারা চায় না। গুজরাতে বিরোধীদের কথা বলার অধিকার আছে। তবে বাংলায় বিরোধীরা মুখ খুলতে পারেন না। তাঁদের কোনওভাবেই প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয় না।’ উল্লেখ্য, এদিনই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিজেপি নেতা ও কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নামলে তাঁদের পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভ প্রদর্শনের আগে তাঁদের আটক করে গাড়িতে তোলা হয়।
সোমবার ভবানী ভবনের সামনে পুলিশে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এই প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি শমীকবাবু। তিনি জানান, ‘চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এখনও দেখাতে পারেনি রাজ্য সরকার। এদিন যাঁরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। চাকরির পাওয়ার দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন। তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করা হল। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।’ এদিন পেট্রল, ডিজেলের থেকেও বিজেপির এই প্রথম সারির নেতা রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন।