যারা দেশকে ভাঙতে চায়, দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাদের যত দ্রুত সম্ভব হারাতে হবে। রবিবার রাজারহাটে ন্যাশনার সিকিওরিটি গার্ডের ২৯ এসএজির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনে গিয়ে এভাবেই বাহিনীর মনোবল বাড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার এটাই ছিল কলকাতায় শাহের প্রথম কর্মসূচি। সেখানে বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা দিতে সরকার তৈরি বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে জওয়ানরা যাতে বছরে ১০০ দিন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন তাঁর পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান শাহ।
এদিন শাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাহিনীর জন্য কাজ করে চলেছে। লাগু হয়েছে ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন। এছাড়া অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কেনা হয়েছে বাহিনীর জন্য। বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে সরকার।
অমিত শাহ বলেন, এতদিন গোটা পৃথিবী জানত যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইজরায়েলই নিজের দেশের বাইরে শত্রুকে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে ভারত। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত শান্তি চায়। কিন্তু ভারতের কোনও জওয়ানের ক্ষতি করলে বা দেশের মাটি দখল করতে এলে তার আর রক্ষে নেই।
বিগত সরকারগুলিকে কাঠগড়ায় তুলে শাহ বলেন, গত সরকারগুলির জমানায় বোঝা যেত না দেশের নিরাপত্তা নীতি কী। নিরাপত্তানীতি ও বিদেশনীতি মিলে মিশে একাকার হয়ে যেত। সেই গোলকধাঁধাঁ থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তা নীতি ও বিদেশনীতিকে আলাদা করেছি আমরা।
NSG-কে সতর্ক করে তিনি বলেন, হামলাকারীরাও ক্রমশ আধুনিক হচ্ছে। তাই গোটা বিশ্ব থেকে ২ কদম এগিয়ে থাকতে হবে বাহিনীকে।
এর পরই বাহিনীর সদস্যদের দিশা দেখিয়ে শাহ বলেন, আমরা বিশ্বের সব থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র বাহিনীকে দিতে পারি, অন্যান্য পরিকাঠামো দিতে পারি, কিন্ত এসব দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। যুদ্ধ জিততে হয় মনের জোরে। সেই জোর বাহিনীর মধ্যে তৈরি করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আধুনিক যুগে যারা কোনও দেশে হামলা চালাতে ঢোকে তারা ভাল করেই জানে যে তারা আর বেঁচে ফিরবে না। তাদের লক্ষ্য থাকে সব থেকে বেশি মানুষ ও সম্পত্তির ক্ষতি করা। NSG-কে তাই দ্রুত তাদের অভিযান শেষ করতে তৎপর হতে হবে। সেজন্য দরকারের রণনীতি বদলাতে হবে তাদের। বদলাতে হবে প্রশিক্ষণের ধরন।
অমিত শাহের কথায়, NSG-কে এমন প্রবল পরাক্রমী হতে হবে যাতে হামলাকারীরা ভারতে ঢুকতেই ভয় পায়। বাহিনীর প্রত্যয় বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, NSG আছে বলে এদেশে কোটি কোটি মানুষ নিরাপদ বোধ করে।