কোভিড ভ্যাকসিনের চাহিদা কমেছে। তবে এরইমধ্যে আচমকা কলকাতার কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের বেশি সংখ্যায় এই ভ্যাকসিন নিতে দেখা যাচ্ছে। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে আগে যেখানে মাসে একজনকেও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিতে দেখা যেত না এখন সেখানে মাসে ১০০ জনের কাছাকাছি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান।
হঠাৎ করে কেন এই ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা বাড়ল?
হাসপাতালগুলির বক্তব্য, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের পরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে এর জন্য জিজ্ঞাসা করছেন এবং টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিএমআরআই হাসপাতালের আধিকারিক রাজা ধর বলেন, ‘আগে আমরা রোগীদের এই ভ্যাকসিন নিতে বলতাম। কিন্তু তাতে অধিকাংশ মানুষই বিশেষ আমল দিতেন না। মনে হচ্ছে কোভিড এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছে এবং এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে ধারণার পরিবর্তন করেছে। করোনার পরে এই ভ্যাকসিন নিয়ে সচেতনতা দেখা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে এবং এমনকি ডাক্তাররাও এখন প্রায়ই এই ভ্যাকসিনের পরামর্শ দিচ্ছেন। এটি ইতিবাচক এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জানান, মাস চারেক আগে এই হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার সংখ্যাটা মাসের নিরিখে ছিল প্রায় শূন্য। তবে এখন প্রতিমাসে কমপক্ষে ৭০ জন এই ফ্লু ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। হাসপাতালের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা। এর ফলে হাসপাতালে এই ভ্যাকসিনের স্টকও শেষ হতে চলেছে। মূলত যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তারাই এই ভ্যাকসিন নিচ্ছেন৷ পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র জানান, সাধারণত এই ভ্যাকসিনের মেয়াদ এক বছর। কিন্তু, আগামী মাসের মধ্যে আমাদের স্টক ফুরিয়ে যাবে। মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, আর এন ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস, এএমআরআই হাসপাতালেও এই ভ্যাকসিনের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।