স্বাস্থ্য কমিশনের বেঁধে দেওয়া প্যাথলজিক্যাল ও রেডিয়োলজিক্যাল পরীক্ষার দর মেনে নিতে অস্বীকার করল কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতা। বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠনের বৈঠকে অসম্মতির কথা জানায় হাসপাতালগুলি। এই দর মানতে গেলে হাসপাতাল তুলে দিতে হবে বলেও দাবি করেন অনেকে।
এদিন কলকাতার সমস্ত বড় বেসরকারি হাসপাতালের কর্তারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেখানে বেঁধে দেওয়া দর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কয়েকটি হাসপাতালের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার পরও যাবতীয় পরিষেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে দিয়ে গিয়েছে তারা। এর পরিস্থিতিতে সরকারি দর মানতে গেলে পরিষেবায় প্রভাব পড়বে।
অনেকে আবার জানায়, বিভিন্ন হাসপাতালে একই পরীক্ষার পরিকাঠামো ভিন্ন। ফলে দর এক হতে পারে না।
বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়ে দেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দর মেনে নিতেই হবে হাসপাতালগুলিকে।
গত মাসে ১৫টি প্যাথলজিক্যাল ও রেডিয়োলজিক্যাল পরীক্ষার দর বেঁধে দেয় সরকার। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটাল অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার দাবি, এভাবে পরীক্ষার দর বেঁধে দেওয়ার অধিকার নেই সরকারের।