এবার সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে তলব করল কলকাতা পুলিশ। আগামী ২০ জুন নারকেলডাঙা থানায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে নূপুরকে। সেদিন হজরত মহম্মদকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে নূপুরকে। যদিও নূপুর কলকাতায় আসবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এর আগে ১১ জুন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে তলব করে মুম্বই পুলিশ। যদিও সেই হাজিরা এড়াতে চেয়ে চার সপ্তাহ সময় চান নূপুর শর্মা।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-দাঙ্গা শুরু হয়েছে নূপুরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলেছে হাওড়া, মুর্শিদাবাদে। গত সন্ধ্যায় একই ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। আজকে উত্তর ২৪ পরগনাতেও পয়গম্বর বিতর্কের আঁচ এসে লাগে।
এর আগে শনিবার রাতে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী আবু সোহেল। নূপুর শর্মা ধর্মী ভাবাবেগে আঘাত করা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই কাঁথি থানায় গতরাতে অভিযোগ দায়ের করেন আবু সোহেল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নূপুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নূপুর। এরই মাঝে অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের ১৫টি দেশ এই বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে ভারতের জবাবদিহি চায়। এই বিতর্কের আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না।