ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে ইডির জেরা সামলে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাঁহা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিলেন গোয়েন্দারা। বেরনোর সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি নুসরত। তবে তিনি বলেন, যা বলার সব বলে এসেছি।
মঙ্গবার নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ১৫ মিনিটের আগে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন নুসরত। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। বিকেল ৫টার কিছু পরে ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। নুসরতের দাবি, কোনও প্রতারণায় যুক্ত নন তিনি। যে সংস্থায় যুক্ত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে সেখান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঋণ সুদ সমেত মিটিয়েও দিয়েছেন।
এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় নুসরত বলেন, ‘যা বলার বলে এসেছি।’ এর পর বাড়ি ফেরার পথে একটি মন্দিরে পুজো দিতে ঢোকেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার যা দেওয়ার ছিল, ওদের যা জানার ছিল জানা হয়ে গেছে। আমাকে আবার ডাকলে আবার যাব।’
নুসরতকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রতারিত এক বৃদ্ধ বলেন, আমাদের বয়স প্রায় ৭০ ছুঁই ছুঁই। আমাদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে নুসরতকে ইডি ডাকায় মনে হচ্ছে এই জন্মে টাকাটা ফেরত পেয়েছি দেখে যেতে পারব।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা বলেন, নুসরত তো নিজে স্বীকার করেছেন যে ওই সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন তিনি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছেন। এটা তো টাকা পাচার। ও ইতিমধ্যে কোথা থেকে ঋণ নেওয়ার কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেছে। এদের ছেড়ে রাখলে এরা এই সবই করবে। এদের অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া উচিত।