ভোট-পরবর্তী হিংসায় এ রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবার রাজ্যের কাছে মহিলাদের উপর হওয়া হিংসার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন (এনডব্লুসি)। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে মঙ্গলবার রাজ্যের ডিজিপি বীরেন্দ্রের কাছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল মহিলা কমিশন।
আগামী ৩১ মে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে মহিলা কমিশনের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গত এপ্রিল মাস থেকে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট, এফআইআরের নথি পেশ করতে বলেছে কমিশন।
‘বিজয় মিছিলের’ নামে বিজেপি ও বাম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর কয়েক দিন পরে প্রকাশ্যে আসে কয়েকশো বিজেপি সমর্থক ও তাঁদের পরিবার ভয়ে এরাজ্য ছেড়ে অসম সীমান্তে পাড়ি দিয়েছেন।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের আমলে হিংসা থেকে বাঁচতে রাজ্যের প্রায় ৩০০-৪০০ বিজেপি কর্মীরা অসমের ধুব্রিতে পাড়ি দিয়েছেন। যাঁরা বাংলা থেকে পালিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন, তাদের জন্য সীমান্তে শিবির তৈরির পাশাপাশি তাঁদের ভিডিও শেয়ার করেন তিনি।
এমনকী, ভোটের হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও হিংসা ছড়ায়। চলতি মাসের শুরুতে নন্দীগ্রামে পরিদর্শনে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
ভোট-পরবর্তী হিংসার পর রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গঠন করে। তাঁরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে সারেজামিনে খতিয়ে দেখেন। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা ও হিংসার শিকার ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনও করা হয়।