রাজ্যে বিজেপির উত্থানের দায় কার। তা নিয়ে বিধানসভায় তুমুল তরজা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদের। এদিন তিনি বামেদের বলেন, ‘যাদবপুরে মন দিন আপনারা।’
সামনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তাতে চারটি পদের প্রত্যেকটিতে প্রার্থী দিয়েছে ABVP. এছাড়া বেশ কয়েকজন শ্রেণি প্রতিনিধি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে RSS-এর ছাত্র সংগঠন। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল। গত বছর থেকেই যাদবপুরে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টায় রয়েছে ABVP. বাবুল সুপ্রিয় কাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের প্রভাব বেড়েছে বলে দাবি অনেকের।' এছাড়া লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে পিছিয়ে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী।
এই নিয়েই এদিন বিধানসভায় বামেদের বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আপনারা যাদবপুরে মন দিন। আমি ভবানীপুরটা দেখে নেব। যে যার মতো রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার দলের ফল নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। আপনারা নিজের চরকায় তেল দিন। যাদবপুরে ১৬,০০০ ভোটে হারলেন কেন?’
এদিন বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়, বামেদের ভোট নয়, বিজেপিতে গিয়েছে তৃণমূলের ভোট। এই নিয়ে শোরগোল ওঠে বিধানসভায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সদ্য শেষ হওয়া দিল্লি নির্বাচনে হারের মুখ দেখেছে বিজেপি। আপের জয়ে বাম – তৃণমূল ২ পক্ষই খুশি হলেও সেখানে তাদের অবস্থা শোচনীয়। এবার দিল্লিতে প্রার্থীই দেয়নি তৃণমূল। আর ভোটে লড়ে সাকুল্যে ০.০৩ শতাংশ পেয়েছে বামেরা। ওদিকে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির উত্থানে চিন্তিত যুযুধান ২ পক্ষ। ফলে একে অপরকে দোষারোপের পালা সেই দুশ্চিন্তারই ঝলক বলে মনে করছে তারা।