আজ, শনিবার বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধ। বহুতলের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ দেন বৃদ্ধ। উর্মিলা আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল আর্থিক সঙ্কট। ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছিল বৃদ্ধের। তা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ১২ বছর ধরে পারকিনশন রোগে আক্রান্ত স্ত্রী রত্না বসু। আর আর্থিক অনটনে সংসার চলছিল না। চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না বৃদ্ধ। এই নিয়ে মানসিক অবসাদ দেখা দিয়েছিল। আজ সকালে আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। তাঁদের একমাত্র মেয়ে রিখিয়া কাতারের রাজধানী দোহায় কর্মরত।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মঘাতী বৃদ্ধের নাম রবি বসু(৭১)। বৃদ্ধ–বৃদ্ধা একাকী থাকতেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্স ডিপোজিটের ম্যাচিওরিটির টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নথির কিছু সমস্যা থাকায় পেতে দেরি হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক অনটন দেখা দিয়েছিল। তা থেকে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে। আত্মহত্যার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বাড়িতে এক পরিচারিকাও কাজ করতেন। তার সঙ্গেও কখা বলছেন বাঁশদ্রোণী থানার তদন্তকারী অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ রবি বসু একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসর নিয়েছিলেন বহুদিন। তাঁর মেয়ে দোহাতে কর্মরত। তাহলে তাঁর আর্থিক অনটন হল কেন? মেয়ে কী টাকা পাঠাতেন না? এখন পুলিশ মৃত্যুর খবর জানায়নি স্ত্রীকে। তবে দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর্ত চিৎকার করে ঝাঁপ দেন বৃদ্ধ রবি বসু।