আজ মহালয়া। আর মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা। বিশেষ এই দিনটিতে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে অগণিত মানুষ ভোর থেকেই ভিড় জমালেন শহরের গঙ্গার ঘাটে। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয় কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে।
আরও পড়ুন: পিতৃ অমাবস্যার দিনে এই কাজগুলি করে নিন, সারা বছর থাকবে সুখ-সমৃদ্ধি
শহরের বাবুঘাট, আর্মেনিয়াম ঘাট, বিচালি ঘাট-সহ একাধিক জায়াগায় আজ সকাল থেকেই স্পিডবোট নিয়ে টহলদারি চালায় রিভার ট্রাফিক পুলিশ। মোট আটটি বোটের মাধ্যমে টহলদাড়ি চালানো হয়। তর্পণ চলাকালীন গঙ্গার ঘাটে কেউ যাতে তলিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখেন রিভার ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীও বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। শহরের বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। দুর্ঘটনায় এড়াতে নদীতে একটি নির্দিষ্ট সীমানার পর আর কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তর্পণ উপলক্ষে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের নেতৃত্বে প্রতিটি ঘাটে মোতায় রয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, তর্পণ উপলক্ষে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাসহ জেলার নদীর ঘাটগুলিতে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। বালি থেকে শিবপুর হয়ে হাওড়ার গঙ্গার প্রতিটি ঘাটেই তর্পণের উদ্দেশ্যে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ। হাওড়ায় গঙ্গার ২০ টিরও বেশি ঘাটে তর্পণের জন্য ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট, হাওড়া ময়দানের তেলকল ঘাট, সালকিয়ার বাধাঘাট, ঘুসুড়ির গোসাইঘাট, শিবপুরের শিবপুর ঘাট সহ একাধিক ঘাটে এদিন চলে কড়া পুলিশ নজরদারি।
হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘাটে যেমন নজরদারি চালানো হয়, তেমনই গঙ্গায় নামানো হয় স্পিডবোট ও নৌকা। পুলিশের পাশাপাশি ঘাটগুলিতে নজরদারি চালায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। বেশ কয়েকটি ঘাটে চলে ড্রোনের নজরদারিও। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চলছে মাইকিংও।