প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর হাইকোর্টের নির্দেশে ফের শুরু হল ইস্ট - ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোড়ার কাজ। বুধবার থেকে মেট্রোর দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের টানেল বোরিং মেশিনটি চলতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বউবাজার থেকে সেটি এগোবে শিয়ালদহের দিকে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বরের বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গ খোড়া হবে খুব ধীর গতিতে। দিনে ১ – ৩ মিটারের বেশি এগোবে না সুড়ঙ্গ। মাটির ওপরে কোনও কম্পন অনুভূত হলেই বন্ধ থাকবে কাজ। তার পরও নিশ্চিত হতে বউবাজারের ৪টি পরিবারকে মধ্য কলকাতার হোটেলে স্থানান্তরিত করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রবিবার তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ঘন জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না তারা। অন্তত যতদিন টিবিএম বসতি ছেড়ে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের নীচে না পৌঁছচ্ছে ততদিন কাজ চলবে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিধি মেনে। একবার দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের টিবিএমটি শিয়ালদহ পৌঁছে গেলে সেটিকে দিয়েই ফের শিয়ালদহ থেকে দুর্গা পিথুরি লেন পর্যন্ত অন্য সুড়ঙ্গটি খোড়া হবে। বলে রাখি, শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খোড়া হয়েছে ফুলবাগানের দিক থেকে। সেখানে স্টেশন তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোড়ার সময় বিপর্যয় নামে বউবাজারের দুর্গা পিথুরি লেনে। ভূগর্ভস্থ জলের স্তরে টিবিএম আঘাত করায় বসতে থাকে একের পর এক বাড়ি। ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ ওই এলাকায় এমন বিপর্যয়ে হাহাকার পড়ে। এর পরই মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির কাজে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত সপ্তাহেই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আইআইটি মাদ্রাজের ইঞ্জিনিয়ারদের পর্যবেক্ষণে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের কাজ শুরুর অনুমতি দেয় আদালত। এর পরই আজ ফের সুড়ঙ্গের কাজ শুরু করল KMRCL.
বলে রাখি, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইস্ট – ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম ধাপের উদ্বোধনে এসে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সব রকম সহযোগিতা পেলে ২০২২ সালের মধ্যে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চালাতে তৈরি রেল।