বাংলার অগ্নিকন্যা বলে একটা সময় পরিচিত ছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । লড়াই করে উঠে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তাঁর আরও একটা পরিচয় ছিল। তিনি শিক্ষকতাও করতেন। আরামবাগের সভা থেকেই পুরনো সেই দিনের কথা তুলে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকী তিনি কোন রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতেন, কীভাবে সেই স্কুলকে নতুন করে গড়ে তোলার কাজ হল সবটাই জানিয়েছেন তিনি। একেবারে তিনি সেই কলেজ জীবনে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কলেজে পড়ার সময় থেকেই ভবানীপুরের মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিকে সেই স্কুল প্রায় উঠে যাচ্ছিল। এরপর সরকারি উদ্যোগে সেই স্কুলকে ফের নতুন করে রূপদান করা হয়। আর একসময়ের সেই স্কুলের শিক্ষকতা করতেন যিনি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই নতুন রূপে তৈরি হওয়া স্কুলের উদ্বোধন করেন।
পাঁচ তলা সেই স্কুল তৈরিতে খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। এই স্কুলের নাম ভবানীপুর মডার্ন স্কুল।
এবার সেই শিক্ষকতা জীবনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, আমি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় থেকে এই স্কুলে পড়াতাম। সকালে কলেজ করে এখানে পড়াতে আসতাম। সোজা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দিয়ে এসে বিশুদের গলি দিয়ে ভবানীপুর পাঠাগারের পাশ দিয়ে স্কুলে আসতাম। মাইনে পেতাম ৬০ টাকা।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমাকে অনেকে বলেন, আমি এত রাস্তা চিনি কী করে? আরে আমি চিনব না তো কে চিনবে! আমি তো সব রাস্তা গলি ঘুরে বেড়াতাম। কয়েক বছর আগে আমি ববিকে নিয়ে পুজো দেখতে গিয়েছিলাম। এই জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলেছিলাম…আমি এই স্কুলে পড়াতাম। তারপর ওরাই খোঁজ নিয়ে এই স্কুলটা নতুন করে গড়ে তুলেছে। স্কুলের মাঠে এখন কী হয় তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। স্কুলের মাঠকেও নতুন করে গড়ে তোলার ব্যাপারে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
অনেকেই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জীবন লড়াইয়ের। শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা চালানোর জন্য়ও দীর্ঘ লড়াই চালাতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই জানালেন তাঁর শিক্ষকতা জীবনের কথা।
তবে এমন একটি দিনে তিনি জানালেন একথা যেদিন কলকাতার রাজপথে চাকরির দাবিতে তুমুল আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যেদিন সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মহিলারা।