আবারও বিতর্কে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী। অভিযোগ, তসলিমা নিজের ফেসবুক পেজে ধূমপানরত মহিলাদের ছবি পোস্ট করে ধূমপানে অন্যদের উৎসাহিত করছেন। এনিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস। (আরও পড়ুন: 'ভারতে ২০০ কোটি মুসলিম...', ওয়াকফ সংশোধনীর প্রতিবাদে বেফাঁস মহুয়া)
আরও পড়ুন: তসলিমাকে ফেরানো হোক কলকাতায়, রাজ্যসভায় আবেদন শমীকের, কৃতজ্ঞ লেখিকা! চাপে TMC?
আইনজীবী জানিয়েছেন, চলতি মার্চ মাসের ৪ তারিখ লেখিকা তসলিমা তাঁর ফেসবুক পেজে ধূমপানরত মহিলাদের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে মহিলাদের ধূমপানের অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, এই ছবি এবং অধিকারের কথা বলে তসলিমা অন্যদের ধূমপানে উৎসাহিত করছেন। আইনজীবীর বক্তব্য, ধূমপান শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আইনগত এবং সামাজিকভাবে ধূমপান নিয়ে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করা হয়। এরফলে শুধু ধূমপায়ীরাই নন, যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের জন্যও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে জনবহুল জায়গায় ধূমপানকে উৎসাহিত করলে জনস্বাস্থ্যকে আরও বিপন্ন করে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশে নিতে চায় 'তৌহিদি জনতা', হুঁশিয়ারি লং মার্চের)
আইনজীবীর আশঙ্কা তসলিমা নাসরিন একজন প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ফেসবুক তাঁর যথেষ্ট ফলোয়ার রয়েছে। ফলে তাঁর এই বার্তা অন্যদের প্রভাবিত করতে পারে। তাই অবিলম্বে যাতে তসলিমার পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয় সেবিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। সোমবারই কলকাতা পুলিশের কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার এবং ওসি সাইবার থানাকে তিনি অভিযোগ পত্র পাঠান। (আরও পড়ুন: 'লেখিকা হিসেবেও আমন্ত্রণ...', 'অক্সফোর্ড বিতর্কে' এবার নয়া দাবি মমতার সরকারের)
আরও পড়ুন: 'ফুরফুরায় সফল হয়নি মমতার ইফতার পার্টি', বিস্ফোরক ত্বহা, বললেন- 'ঘেন্না হচ্ছে...'
আইনজীবী আরও জানান, এই ধরনের পোস্ট আইনবিরোধী। তসলিমা একজন প্রভাবশালী লেখিকা। অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কাজ না করলে তাঁর সহকর্মী আইনজীবী সিদ্ধার্থ গোস্বামী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে তসলিমা দিল্লির আশ্রয়ে রয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তাঁর রেসিডেন্স পারমিট শেষ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তা বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। আবেদন মঞ্জুর করে অমিত শাহর মন্ত্রক।