রেশন দুর্নীতিতে ফের একবার অ্যাকশন মোডে ইডি। শুক্রবার কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির ৭টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তার মধ্যে ভাঙড়ের এক ফুড ইন্সপেক্টরের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের সঙ্গে গোপন আঁতাঁত ছিল এই ফুড ইন্সপেক্টরের।
আরও পড়ুন - শৌচালয়ের দেখভালও করতে পারে না! পূর্ত দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত
পড়তে থাকুন - মালদায় কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার, ৯ দিনেই চার্জশিট দিল পুলিশ
শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, নদিয়ার কল্যাণী ও মেদিনীপুরের ২টি ঠিকানায় তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। কল্যাণীর আদিবাসীপাড়ায় এক ফুড ইন্সপেক্টরের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। সালমা হেমব্রম নামে ওই ফুড ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বাকিবুরের গোপন আঁতাঁত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে সালাম হেমব্রম হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এদিন তাঁর দর্শন পাননি ইডির আধিকারিকরা। এছাড়া জয়নগরের বহড়ুর একটি রেশন গোডাউনে হানা দেন আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার আজিজনগরে একটি সমবায় সমিতিতে হানা দেন তাঁরা।
ইডি সূত্রে খবর, রেশন ডিলার ও ফুড ইন্সপেক্টরদের একাংশও রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এর আগে রাজ্যের কাছে বাতিল হয়ে যাওয়া রেশন কার্ডের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেই তালিকা অনুসারে যে সব জায়গায় অস্বাভাবিকতা নজরে পড়েছে সেখানে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’, বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি
রেশন দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। জামিন পেয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। গোয়েন্দাদের অনুমান, শুধু নেতা - মন্ত্রীরা নন, খাদ্য দফতরের একাধিক আধিকারিকও রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত। সঙ্গে যোগ রয়েছে রেশন ডিলারদেরও।