কুণাল ঘোষ। বাংলার রাজনীতিতে অনেকের মতে তিনি নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়পন্থী। তবে দলের নেতৃত্ব অবশ্য তৃণমূলে মমতাপন্থী বা অভিষেকপন্থী এভাবে গোটা বিষয়টিকে দেখতে রাজি নন। তবুও বাংলার রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই নানা কথা শোনা যায়।
এদিকে বিদেশ থেকে চোখের অপারেশন করিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির কালীপুজোতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শনিবার তাঁর আমতলায় রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা রয়েছে। এসবের মধ্য়েই কুণাল ঘোষ লিখলেন রাত পোহালেই অভিষেকের জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই অভিষেককে মমতাদির ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক বলে উল্লেখ করেছেন। অভিষেক সম্পর্কে তাঁর নিজের উপলব্ধির কথা উল্লেখ করেছেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'রাত পোহালেই অভিষেকের এর জন্মদিন।
খুব ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, চোখের সমস্যাটা একদম ঠিক হয়ে যাক। কম বয়সেই যোগ্য নেতৃত্বের যে ছাপ অভিষেক রাখছে, সময়ের সঙ্গে তা আরও ব্যাপকতর হতে থাকুক।
আমি নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, এই উদীয়মান তারকার উপর গুরুত্বসহ নজর রাখবই। বয়সে ছোট, কিন্তু যতদিন আমি তৃণমূলে সক্রিয় থাকব, ও আমার নেতা। তার বাইরে স্নেহ করি, ভালোবাসি। মমতাদিকে দীর্ঘকাল দেখেছি, এখন অভিষেককেও দেখছি। দ্রুত আরও পরিণত। আবেগের সঙ্গে মিশছে আধুনিক পদ্ধতি, প্রযুক্তি। আরও ধারালো হচ্ছে অভিষেক। সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি থেকে যুগান্তরের পতাকায় কান্ডারী। মমতাদির ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক। মমতাদির নেতৃত্ব চলতে থাকুক, আর তার মধ্যেই আগামীর পদধ্বনি হতে থাকুক বাংলার রাজনৈতিক সামাজিক চালচিত্রে।'
কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন অভিষেকের নতুন দিকের কথা। তিনি লিখেছেন, মমতাদিকে দীর্ঘকাল দেখেছি, এখন অভিষেককেও দেখছি। দ্রুত আরও পরিণত। আবেগের সঙ্গে মিশছে আধুনিক পদ্ধতি, প্রযুক্তি। আরও ধারালো হচ্ছে অভিষেক। সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক, তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি থেকে যুগান্তরের পতাকায় কান্ডারী। মমতাদির ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক।
একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা এর মধ্য়ে লিখে দিয়েছেন কুণাল। সেটা হল সেই বহুল চর্চিত আলোচনা, সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী হবেন অভিষেক। তবে এক্ষেত্রে কুণাল অবশ্য় কোনও সালের কথা উল্লেখ করেননি। কেবল ভাসিয়ে দিয়েছেন একটা বাক্য।