বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Haridevpur Murder: মগরাহাটের পুকুর থেকে মিলল অয়নের মোবাইল!‌ কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

Haridevpur Murder: মগরাহাটের পুকুর থেকে মিলল অয়নের মোবাইল!‌ কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

যুবক অয়ন মণ্ডল

বিজয়া দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক অয়ন মণ্ডল। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরে মাগুরপুকুরে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মা এবং মেয়ের সঙ্গে অয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আর অয়ন তাঁর মোবাইলে দুজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিলেন।

হরিদেবপুর অয়ন মণ্ডল খুনে এখন তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। তাতে অয়নের মানিব্যাগ পাওয়া গেলেও মোবাইল ফোনের হদিস মিলছিল না। এদিকে খুনের পর প্রায় দশ দিন কেটে গিয়েছে। অয়নের বান্ধবী–সহ গোটা পরিবার এখন পুলিশ হেফাজতে। তাদের জেরা করেও সদুত্তর মেলেনি। অথচ এই মোবাইল নেওয়ার জন্যই খুন করা হয়েছিল যুবক অয়নকে। কারণ ওই মোবাইল প্রীতি এবং তার মা রুমার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি রয়েছে। তবে এবার একটা মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেটি অয়নের কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের নিহত যুবক অয়ন মণ্ডলের মোবাইল ফোনের হদিস পাননি তদন্তকারীরা। তবে শনিবার অয়নের মোবাইলের খোঁজে মগরাহাটে গিয়েছিল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। অয়ন মণ্ডলের দেহ যে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও সেটি অয়নের নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। যদিও তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ জলাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি কার সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখানে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রীতি ও তার মায়ের বয়ান। তারা মোবাইলটি পেয়েছিল, নাকি জলে ফেলে দিয়েছিল?‌ সেটা এখনও তারা জেরায় জানায়নি। ইতিমধ্যেই মগরাহাট পুলিশ সূত্রে খবর, অয়নের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন নথি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। আর এই মোবাইল দেখিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক অয়ন মণ্ডল। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরে মাগুরপুকুরে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মা এবং মেয়ের সঙ্গে অয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আর অয়ন তাঁর মোবাইলে দুজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে রেখেছিলেন। সেটা জানতে পেরেই ঝামেলার সূত্রপাত। আর সেখান থেকেই অয়নকে খুনের ঘটনার পরিকল্পনা হয়। তারপরই টোপ দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় এবং খুন করা হয়। আজ, রবিবার বান্ধবীর পরিবারের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই ফের তাদের আদালতে তোলা হবে।

বন্ধ করুন