কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেটে আজ পাশ হয়ে গিয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। আজ বৃহস্পতিবার মোদীর মন্ত্রিসভা এতে সায় দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তবে এটার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একই সুর শোনা গেল সিপিএম এবং কংগ্রেসের গলাতেও। তবে বিরোধীদের একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। এই বিলে সিলমোহর দিতেই এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে দেশের তামাম বিরোধী দল। এই বিলের প্রধান লক্ষ্য—সারা দেশে একইসঙ্গে সমস্ত নির্বাচনের আয়োজন করা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল, এই বিল আইনে পরিণত হলে আগামী দিনে সারা দেশে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা নির্বাচন ১০০ দিনের সময়সীমার মধ্যে কার্যত একসঙ্গে মিটিয়ে ফেলা হবে। এবার সেটারই চূড়ান্ত ধাপ এগিয়ে গেল এনডিএ সরকার। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী চরম বিরোধিতা করে বলেন, ‘এক দেশ, এক ভোট নিয়ে আমাদের বক্তব্য এবং অবস্থান আগে থেকেই স্পষ্ট। এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল বিষয়। আমাদের দেশে পাঁচ বছর অন্তর ভোট হয় মানুষের আস্থা–অনাস্থাকে মাথায় রেখেই। এক ভোট চালু হলে তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকেই দেশ সরে আসবে।’
আরও পড়ুন: দলের শতাধিক বিধায়কের উপর ক্ষুব্ধ পরিষদীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানাবেন অভিযোগ
প্রদেশ কংগ্রেসও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্যকে পাত্তাই দিলেন না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূল বিরোধী দল। ওদের কাজই সবেতে বিরোধিতা করা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে, সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে সেটা কার্যকর হবে। দেশের মানুষ বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবে এটা চলতে পারে না। আর কোন কাজ নেই? প্রশাসন দু’মাস অন্তর নানা ভোট করাবে, আর কোনও কাজ নেই তাদের? দেশের মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিল এনেছে। এতে মানুষের ভালই হবে।’
এছাড়া এনডিএ সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থাপনা কার্যকর হলে একদিকে নির্বাচনের খরচ কমবে, অপরদিকে বারবার নির্বাচনী বিধিনিষেধ এবং আদর্শ আচরণবিধি পালনের ঝক্কিও কমবে। তখন উন্নয়নমূলক কাজ করার সময় আরও বেশি পাওয়া যাবে বলেও দাবি করছে সরকারপক্ষ। যদিও এই বিলের বিরোধিতা যেসব বিরোধী দল করছে তাদের কথায়, দেশের এক একটি রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করতে হলে কোনও কোনও রাজ্যের ভোট এগিয়ে আসবে। আবার কোনও কোনও রাজ্যের ভোট পিছিয়ে যাবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যা তৈরি করবে।