আবার সেঞ্চুরি করল স্বাদের পেঁয়াজ। আর তাতেই পুজোর মধ্যেই কাঁদতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে। কারণ পুজোর মরশুমে ১০০ টাকা কেজি হল পেঁয়াজের দাম। যার ঝাঁঝে এখন চোখে জল চলে এসেছে। সুতরাং বাজার আগুন, পেঁয়াজের দামেই চোখে জল মধ্যবিত্তের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে শেষে পেঁয়াজ চুরি করতে হল ক্রেতাকে। আবার ধরাও পড়ে গেলেন। আসলে অভাবে স্বভাব নষ্ট!
এই ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরে। তিনি ভেবেছিলেন লুকিয়ে চুড়িয়ে কয়েকটা পেঁয়াজ ব্যাগে ভরে নেবেন, তবে তা হল না। ধরা পড়লেন বিক্রেতার কাছে। মহাষষ্ঠীর সকালে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর বাজারে এক মহিলা সবার অলক্ষ্যেই পেঁয়াজ তুলে ব্যাগে ভরতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ধরা পড়ে গেলেন। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আপাতত পেঁয়াজের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল পেঁয়াজের দাম। এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ১০০। পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ পেঁয়াজ মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়। ফলে সেখানে দাম বাড়লে এই রাজ্যে তার প্রভাব পড়ছে বলে বাজারের বিক্রেতাদের দাবি। কিন্তু লাল ফসল সেঞ্চুরি করায় মধ্যবিত্তের হেঁসেলে টান পড়েছে। লেক মার্কেট, চারু মার্কেট, বালিগঞ্জ মার্কেট, মানিকতলা বাজার—সর্বত্রই এই দাম যাচ্ছে। সুতরাং কলকাতা থেকে গ্রামবাংলা এখন অস্থির অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার বীরেন্দ্রনগর বাজারে এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ বাজার করতে আসেন। এই বাজারে সব থেকে কম দামে মেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। তবে সেখানেও আগুন দাম পেঁয়াজের। মরশুমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। এই দামে পেঁয়াজ কিনতে হাত পুড়েছে মধ্যবিত্তের। ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। বিক্রেতারা বলছেন জেলায় জেলায় পেঁয়াজের আগুন দামে কপালে ভাঁজ সকলেরই।