চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে দেশের প্রথম পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগ। ১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে এই সার্জারি বিভাগ চালু হয়েছিল। আগে যেখানে পাঁচজন চিকিৎসক ছিল এই সার্জারি বিভাগে, সেখানে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র দু'জন চিকিৎসক। যার ফলে শিশুদের পেডিয়াট্রিক এই সার্জারি বিভাগের অবস্থা এখন ধুঁকছে। চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমতো না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বহু অভিভাবককে। এখন এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পেডিয়াট্রিক বিভাগে।
আগে এক সময় পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের আউটডোর খোলা থাকত সপ্তাহে ৬ দিন। কিন্তু, চিকিৎসকের অভাবে এখন সপ্তাহে মাত্র দু'দিন আউটডোর খোলা থাকে। সোম ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের আউটডোর। অবসর থেকে শুরু করে বদলি প্রভৃতি কারণে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সংখ্যা কমতে কমতে দু'জনে ঠেকেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই দু'জন চিকিৎসককে আউটডোর এবং অপারেশন দুটোই সামলাতে হয়। বর্তমানে যে দু'জন চিকিৎসক রয়েছেন তার মধ্যে একজন পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান এবং অন্যজন রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার।
এমনিতেই পেডিয়াট্রিক বিভাগে চিকিৎসকের সংখ্যা কম, তারপর করোনার প্রকোপ রয়েছে। কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক। যার ফলে এখন শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক এই পরিষেবা দিচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় অপারেশনের ডেট পাওয়ার জন্য নাকাল হতে হচ্ছে শিশুদের অভিবাবকদের। হাসপাতালে এসেও তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। তার উপর রোগীদের লম্বা লাইন পড়ায় চিকিৎসকরাও বিরক্ত হয়ে পড়ছেন। এরইমধ্যে এই বিভাগে মাস্টার অফ সার্জারি সার্জারি পড়ানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, অন্তত তিনজন শিক্ষক চিকিৎসক থাকতে হবে। এই অবস্থায় সমস্যার সমাধানে তৎপর হয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।