‘দুয়ারে রেশন’,’ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’, ’লক্ষীর ভান্ডার’–সহ একাধিক প্রকল্পে এখন রাজ্যজুড়ে শুধু মানুষের লাইন দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু এখন প্রশ্ন সাড়া কেমন? যার উত্তর হিসাবে পাওয়া গিয়েছে, একমাসেরও কম সময়ে এক কোটিরও বেশি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’–এর আবেদনপত্র জমা পড়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে এসেছেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। শুধুমাত্র ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে এদিন পর্যন্ত আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা ১.০৮ কোটি। এখনও হাতে বাকি রয়েছে একসপ্তাহ সময়। তাহলে অঙ্কটা কোথায় পৌঁছতে পারে ভাবতে শুরু করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার শিবির থেকে প্রায় ১.৫৬ কোটি মহিলা আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে প্রায় ১.০৮ কোটি মহিলা তা পূরণ করে জমাও দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং রাজ্যের মহিলারা এই প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে। তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং পিছড়ে বর্গের মহিলারা পাবেন মাসে ১ হাজার টাকা করে।
উল্লেখ্য, গতবছর রাজ্যে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য ভিড় ছিল সবথেকে বেশি। এবার মূলত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন বেশিরভাগ মহিলা। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ক্ষমতায় আসার পিছনে বাংলার মা–বোনেদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই সরকারে আসার পর থেকেই মহিলাদের জন্য কার্যত কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী।