মাধ্যমিক – উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে শিক্ষা দফতরের জনমত সংগ্রহের বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার আসানসোলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের পরামর্শ না নিয়েই একতরফাভাবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না। বিকল্প মূল্যায়ণের পথ খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের ৭ দিন সময় দিয়েছেন তিনি। যদিও গত সপ্তাহে মমতা ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বড় গলায় বলেন, ‘দেশে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যারা এই সাহস দেখাল।’ ঘটনাচক্রে পরদিনই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় CBSE, ICSE, ISC পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। এর পর গত বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট প্রকাশের কথা থাকলেও পিছিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট পর্ষদগুলি।
এর পর নবান্ন থেকে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। রবিবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি ইমেল আইডি প্রকাশ করে সাধারণ মানুষকে মতামত জানাতে বলা হয়। সোমবার সেই সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ স্কুলে গিয়ে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের বিরুদ্ধে। তাই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘মাধ্যমিক – উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে জনমত সংগ্রহের ব্যাপারটি সাজানো। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন পরীক্ষা হবে না। সাজেশন দেওয়ার আগেই ডিসিশন নিয়েছিলেন উনি।’