আলু – পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির সমালোচনায় সরব হল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল। এমনকী আলুর দামের কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেড-এর কাছে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এদিন আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে সায়ন্তন বলেন, ‘আলুর দাম কমানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। গত বছর ৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছিলেন চাষিরা। সেই আলু গতকাল কলকাতায় ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৪৫ টাকা মুনাফাখোররা নিয়েছে।’
সায়ন্তনের দাবি, ‘এই ৪৫ টাকার মধ্যে ২৫ টাকা তারা পাঠিয়েছে কালীঘাট প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে। আর ২০ টাকা নিজের কাছে রেখেছে। তাই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।’
সায়ন্তনের অভিযোগ, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বদলে তৃণমূলের হয়ে তোলাবাজি করছে টাস্ক ফোর্স। সেজন্যই দাম বাড়ছে আলুর। এমনটা চললে আলুর দাম ১০০ টাকা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলুর দাম নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কেন্দ্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের পর মহারাষ্ট্র-কেরলের মতো রাজ্য আইন সংশোধন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেজন্য আমরা বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে বলেছিলাম। তা না করে উনি এখন মোদীর কাছে অনুমতি চাইছেন।
এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, কেন্দ্রের আইনকে তোয়াক্কা না করে কংগ্রেস শাসিত একাধিক রাজ্য আইন সংশোধন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা না করে লোকদেখানো হাত পা ছুঁড়ছেন।