একুশের নির্বাচনের আগে জনপ্রিয় হয়েছিল দিদিকে বলো কর্মসূচি। শহর তথা জেলার মানুষজন নানা সমস্যা সেখানে জানিয়ে ফল পাচ্ছিলেন। তাতে আরও জনপ্রিয় হয় এই প্রকল্প। এবার সেই প্রকল্পের পরিবর্তে বিজেপির কি করা উচিত তাও বাতলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অনুকরণে বিজেপিকে এখন ‘বাবাকে বলো’ কর্মসূচি করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এখন বিধানসভায় অধিবেশন চলছে। বিজেপি হট্টগোল পাকাচ্ছে। পাল্টা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। মঙ্গলবার বিধানসভায় হট্টগোলের সূচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনায় নিন্দা, পাল্টা নিন্দা, টিপ্পনী চলছিল। রাজ্যপালের ভাষণের দিন চেঁচামিচি করে তা ভেস্তে দিয়েছিল বিজেপি। এবার সে ভাবেই বিতর্ক টেনে আনেন পার্থ। আর বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা ইদানিং দলত্যাগ নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বলছেন, আদালতে যাব। আমরা (তৃণমূল) লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন হারিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তাই এবার আমি বলি দলত্যাগ নিয়ে বিরোধী দলনেতা বাবাকে বলো কর্মসূচি নিন।’ ব্যস, এই মন্তব্যের পরই তোলপাড় হয়ে যায় বিধানসভা।
বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়ে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে বিচার চেয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এমনকী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিধায়কপদ খারিজের জন্য চিঠি দিয়েছেন স্পিকারকে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসও শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর সাংসদপদ খারিজের দাবি তুলেছে। পার্থর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে আসা মাত্রই বিরোধী শিবিরে তুমুল হুল্লা শুরু হয়ে যায়।
বাধ্য হয়ে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন বিরোধী দলনেতা–সহ বিজেপি বিধায়করা। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ‘নৈহাটির ওই বিধায়ক আমার বাপ তুলেছেন।’ তাতে বেশ চর্চা শুরু হয়ে যায় বিধানসভার অন্দরেই। কিন্তু স্পিকার অবশ্য পার্থের বক্তব্যে কোনও অসংসদীয় শব্দ নেই বলে তা নথি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ সরাসরি শুভেন্দুর বাবার কথা বলেননি পার্থ ভৌমিক।