‘‌জিতলে কাশ্মীরকে অগ্রাধিকার দেব’‌, বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন যশবন্ত

ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আগে বিজেপি জানালে সেটা নিয়ে সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা যেত। বিট্রে করতে তিনি পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ শাসকের প্রার্থীর সঙ্গে বিরোধীদের প্রার্থীর টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শাসকদল অনেকটা এগিয়ে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

যশবন্ত সিনহা। (ANI Photo)

হাতে আর মেরেকেটে একসপ্তাহ। তার পরই দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। আর বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। দু’‌জনেই নিজের নিজের মতো করে প্রচার করছেন। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলে নিজের অগ্রাধিকারের বিষযটি সামনে আনলেন যশবন্ত লিনহা। যা একপ্রকার বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া।

কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন যশবন্ত?‌ আজ, শনিবার যশবন্ত সিনহা তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথমে আছে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান বলে জানিয়েছেন। আর তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ এই কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তারপরও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়নি। আর তাই কাশ্মীর ইস্যুকেই শনিবার সংবাদসংস্থা এনএনআই–এর সামনে তুলে ধরলেন যশবন্ত সিনহা।

ঠিক কী বলেছেন যশবন্ত?‌ পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘‌নির্বাচিত হলে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমি সরকারকে বলব। আর আমার অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে, শান্তি, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অবসান ঘটানো।’ এগুলি একটিও কেন্দ্রীয় সরকার মানে না বলে বারবার অভিযোগ তুলেছেন মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ বিরোধীরা।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আগে বিজেপি জানালে সেটা নিয়ে সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করা যেত। এখন আর তা সম্ভব নয়। বিট্রে করতে তিনি পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ শাসকের প্রার্থীর সঙ্গে বিরোধীদের প্রার্থীর সমানে সমানে টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শাসকদল অনেকটা এগিয়ে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।