Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ করতেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, শাহিনকে মুক্তির নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন। মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের সময় তিনি মন্ত্রী অরূপ রায় তথা শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে জলাজমি ভরাটের অভিযোগ এনে ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন।

নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছিল। আর তখনই ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে এক মন্ত্রী ও শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন হাওড়ার এক যুবক। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। তবে সেই যুবককে বিকাল ৫টার মধ্য়ে মুক্তির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই সঙ্গেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। 

এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন। মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের সময় তিনি মন্ত্রী অরূপ রায় তথা শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে জলাজমি ভরাটের অভিযোগ এনে ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন। এরপরই সেই যুবককে গ্রেফতার করেছিল শিবপুর থানার পুলিশ। 

তবে সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা ক্ষোভ জানালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে?  যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? পুলিশ কেন এনিয়ে নাক গলাল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, দুজনের মধ্য়ে গোলমাল হল আর তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিল? এটা আইন? 

এদিকে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, গত ৩০ জুন বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই যুবককে। তবে ধৃতের পরিবার দাবি করেছে, শাহিনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশের কথা জানতে পেরে পুলিশ তাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

এদিকে ওই যুবক তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছে তার পরিবার। থানায় ডেকে পাঠানোর পরে তিনি গিয়েছিলেন। আর সেখানেই  তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্য়ায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, শিবপুর থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে। স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে অভিযোগ করেছিলাম। ওই ব্যক্তি যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন তা মানা যায় না। 

এদিকে বিচারপতি গ্রেফতারের দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন।