এতদিন চলছিল স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। তখনও অফিস টাইমে ছিল গাদাগাদি ভিড়। আর পুরোদমে ট্রেন চালু হতেই একেবারে যেন গোটা বাংলা ট্রেনে চেপে পড়েছে। একটি করে ট্রেন ঢুকছে স্টেশনে, আর যেদিকে তাকানো যায় শুধু কালো মাথার ভিড়। ট্রেন যখন খুলেছে, মরি, বাঁচি, করোনায় আক্রান্ত হই, পরিস্থিতি যেটাই হোক, অফিসে পৌঁছতেই হবে। যাত্রীদের একাংশের দাবি, এতদিন তবু নানাভাবে অজুহাত দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার আর অফিস কোনওভাবেই কথা শুনবে না। ট্রেন যখন চালু হয়েছে তখন সঠিক সময়ে অফিস আসতেই হবে। আর অফিসের এই নিদান শুনে ভিড়, তা সে যতই ভয়াবহ হোক, বঙ্গবাসী অফিস যাবেই। বাস্তবিকই পেশার টানে, পেশাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এভাবেই ঝুঁকির রেলযাত্রায় বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। তার জেরে প্রতিটি ট্রেনই যেন শ্রীভূমিতে বুর্জ খলিফা দেখার মতো ভিড়।
আসলে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরতদের দাবি, এতদিন ট্রেন কম থাকার জন্য যাতায়াতের সমস্যা ছিল। সেকারণে অফিসকে নানাভাবে বুঝিয়ে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু এবার আর সেই সুযোগও নেই। বেলঘরিয়া থেকে ব্যান্ডেল সর্বত্র একই ছবি। অনেকে ভিড় ট্রেনের জন্য পরের ট্রেনে যাবেন ভাবছেন। কিন্তু সেই পরের ট্রেন যখন আসছে তখনও গাদাগাদি ভিড়। অগত্য়া কোনওরকমে সেই ভিড় ট্রেনেই কসরত করে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। এদিকে ভিড় ট্রেনে একে দমবন্ধ করা অবস্থা। তার উপর মাস্ক পরে থাকার সাবধানতা। বিশেষজ্ঞদের মতে মাস্ক পরতেই হবে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেসব কথা আর ভাবতে রাজি নন অফিসযাত্রী। ট্রেন যখন চলছে, তখন হাজিরা খাতায় লেট মার্ক পরুক এটা আর চাইছেন না কেউ। আর সকলেরই যখন একটা লক্ষ্য, তখন ট্রেনের ভিড় কীভাবে কমবে তা নিয়ে কোনও দিশা পাচ্ছেন না অনেকেই।