করোনা অতিমারির সংকটের দিনে মানুষের মুখে মুখে ফিরছে অক্সিমিটারের কথা। কিন্তু দেড়, দুই হাজার টাকা খরচ করে বাড়িতে অক্সিমিটার রাখার মতো আর্থিক সামর্থ্য অনেকেরই নেই। এদিকে করোনা থাবা বসিয়েছে জেলায় জেলায়। ঘরে ঘরে অসুস্থতা। কিন্তু বাড়িতে একটি অক্সিমিটার থাকলে শরীরের অবস্থাটা একবার আঁচ করা যেত। সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে পারেন রোগীর পরিজনরা। কিন্তু অক্সিমিটার না থাকার জন্য সমস্যা বাড়ছে। আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে রোগীর। সেকারণেই এবার প্রয়োজন অনুসারে অসুস্থদের ঘরে ঘরে অক্সিমিটার পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতর সূত্রে খবর আপাতত রাজ্যের ১০টি ব্লককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হতে পারে। মূলত গ্রামীণ এলাকাতেই এই প্রকল্প চালু হতে পারে।
ঠিক কী হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে চাহিদা অনুসারে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত রাখা হবে অক্সিমিটার। মূলত কোভিড উপসর্গ রয়েছে অথচ রিপোর্ট আসেনি এমন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে পালস অক্সিমিটার। দিন কয়েকের জন্য তিনি এই অক্সিমিটার ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু অক্সিমিটার কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটাই তো জানেন না অনেকেই? স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এক্ষেত্রে আশাকর্মীরা তাঁদের বুঝিয়ে দেবেন কীভাবে তা ব্যবহার করতে হয়।তবে উপসর্গ কমে গেলে বা পরবর্তীতে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অক্সিমিটারটি ফেরৎ নিয়ে নেবে স্বাস্থ্য দফতর। পরে সেটি আবার অন্য় কোনও রোগীকে দেওয়া হবে। জুনের প্রথম সপ্তাহে যাতে এই উদ্যোগকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু করা যায় সেব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।