দুর্গাপুজোয় ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি ভোগের আনন্দই আলাদা। শালপাতার থালায় পাঁচমেশালি সবজির লাবড়া, চাটনি–পাঁপড়ের সঙ্গে চালের পায়েস যেন অমৃত। এই নস্ট্যালজিক পরিবেশ তৈরি হয় বারোয়ারি পুজোর ভোগে। সেই পরিবেশ এবার মিলতে চলেছে দুয়ারে। এখন বাড়ি বসেই সেই মহাভোগের স্বাদ নেওয়া যাবে। এবার দুর্গাপুজোর পাঁচদিনের জন্য পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ উদ্যোগে মিলবে দুয়ারে মহাভোগ। যা এবার বিশেষ আকর্ষণ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই খিচুড়ি সহযোগে মহাভোগের স্বাদ পেতে পুজোমণ্ডপে যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন ভোগের স্বাদ। আর এই ব্যবস্থাটি করেছে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সংস্থা কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিএনডিসি)। হোয়াটসঅ্যাপের বিশেষ নম্বরে অর্ডার দিলেই দুয়ারে পৌঁছে যাবে মহাভোগ। সেখানে খিচুড়ি লাবড়া থেকে বাসমতি চালের ভাত, পাঁঠার মাংস মিলবে বলে খবর।
কী থাকছে দুয়ারে মহাভোগের মেনুতে? দুর্গাপুজোর এই পাঁচদিনে মেনু রাখা হয়েছে, ভালো চালের ভাত, সোনা মুগের ডাল, চিংড়ি দিয়ে আলু কপির ডালনা, দেশি বনমোরগের ঝোল, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, চাটনি এবং মিষ্টি। এই সিএনডিসি’র অধিকর্তা সৌম্যজিৎ দাস জানান, সপ্তমীর দিন থাকছে স্বর্ণচূড়া চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ফিস ওড়লি দু’পিস, কাতলা কালিয়া, ইলিশ পাতুরি, চাটনি এবং মিষ্টি। খরচ পড়বে মাথা পিছু মাত্র ৫০০ টাকা। অষ্টমীতে খিচুড়ি, লাবড়ার তরকারি, বেগুনি, বাসন্তী পোলাও, ছানার পুর দিয়ে পটলের দোরমা, ছানার কোপ্তা, চাটনি এবং মিষ্টি রাখা হয়েছে মেনুতে। প্লেট প্রতি খরচ পড়বে ৪৭৫ টাকা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার আসছে নবমীর মেনু। নবমীর ভুরিভোজেও থাকছে বাসমতী চালের ভাত, গাওয়া ঘি, শুক্তো, ভেটকি মাছের পাতুরি। আবার কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি এবং মিষ্টিও রাখা হয়েছে। প্রতি প্লেটের দাম পড়বে ৫৫০ টাকা। দশমীর দিন থাকছে সাদা পোলাও, নবরত্ন এবং ঝুরি আলুভাজা সঙ্গে পান্তুয়া, ল্যাংচা, রসগোল্লা, নিকুতি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বালুসাই এবং পায়েস। আর দাম বাকি মাত্র ৩৭৫ টাকা। অর্ডার দিতে হোয়াটসঅ্যাপ করতে হবে–৯৪৩২২০৭১৩১, ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫, ৮২৪০৬২২৩৪৬, ৯৭৩৫৯২৯৪১৩।