পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর তার পর থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তখন থেকেই জেলায় জেলায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তবে খুবই সামান্য সেগুলি। কিন্তু আজ, বুধবার ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে যা ঘটল তাতে আর সামান্য থাকল না মনোনয়ন–পর্ব। দেদার বোমাবাজি, গুলি, মারপিঠ–সহ হামলা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই দুটি গ্রামীণ এলাকায়। তাই এবার কড়া নির্দেশ জারি করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
এদিকে আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে জেলায় তা কঠোর হাতে দমন করতে চায় কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। তাই এখন সব রাজনৈতিক দলই ঝাঁপিয়ে পড়েছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে। তবে তার মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং। বোমা–গুলিতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে কমিশনার রাজীব সিনহা নিজেদের এবং প্রশাসনের সবাইকে আরও সতর্ক ও সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলেছেন কমিশনার? ইতিমধ্যেই তাঁর কানে এসে পৌঁছেছে সমস্ত জেলার খবর। সংঘর্ষ থেকে বোমা–গুলি চলার খবর মিলেছে। তাই এবার জেলাশাসকদের এবং নানা জেলার নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের আরও সতর্ক থাকতে বলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আজ বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমার পর্ব এখন খুব কঠিন পর্যায়ে রয়েছে। আপনাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে। সব দিক খতিয়ে দেখতে হবে।’
আর কী বলেছেন কমিশনার? বিরোধীরা শুরু থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন। নানা জায়গায় সংঘর্ষের কথা তুলে ধরেন। এই আবহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজে যাতে কোনও সংকট না তৈরি হয় সেটা আপনারা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজন মনে হলে সংশ্লিষ্ট মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে কর্মী সংখ্যা বাড়ান। এখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ভিড় বাড়বে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করে যেতে হবে। আগেভাগেই আপনারা পদক্ষেপ করুন।’ এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলাশাসক এবং বিভিন্ন জেলার ইলেকশন অফিসারদের বলে সূত্রের খবর।