মার্চ-এপ্রিলেই হতে পারে রাজ্য়ের পঞ্চায়েত ভোট। আর তার থেকেও সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। জানুয়ারিতেই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এদিকে কাল বুধবার ২০টি জেলায় আসন বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, ২০২৩ সালে ভোট হতে পারে হাওড়া পুরসভায়। অন্যদিকে মার্চ এপ্রিলে ভোট ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে এই ভোট হবে না বলেই খবর। সেক্ষেত্রে ভোট হতে গেলে মোটামুটি মার্চ এপ্রিলেই হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিকে বিরোধীদের একাংশের দাবি, রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলে যা হওয়ার সেটাই হবে। ফের অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হবে গোটা বাংলা জুড়ে। মূলত রাজ্য পুলিশে বিশেষ আস্থা নেই বিরোধীদের অনেকেরই। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হলে কি আদৌ নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে? তবে কি পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ফের রক্তাক্ত হবে বাংলা? সেই প্রশ্নও উঠছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গ্রামীণ বাংলায় ক্ষমতায় কারা থাকবে তা মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে যায় পঞ্চায়েত ভোটের মাধ্যমে। বর্তমানে রাজ্যের সিংহভাগ পঞ্চায়েতই শাসকদলের অধীন। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতির নানা অভিযোগ। এনিয়েও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু বিরোধীরা আদৌ বাসিন্দাদের ভোটকে ইভিএম পর্যন্ত আনতে পারবেন কি না সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে এখনও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চূড়ান্ত কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।