মেয়েকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে এক যুবতীর মা – বাবাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকার পদ্মপুকুরে। ওই ঘটনায় নির্যাতিতার বোন ও শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। অভিযুক্ত মা – বাবাকে আদালতে পেশ করে মাকে হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস আগে ট্যাংরা থানায় মা- বাবা-সহ পরিজনদের বিরুদ্ধে জোর করে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ আনেন ওই যুবতী। তাঁর দাবি, ২০১২ সালে ট্যাংরা থানা এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে এক বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, ২০১৫ সালে তাঁকে প্রথম শিয়ালদায় কেনাকাটা করতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে হোটেলের ঘরে বন্ধ করে জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। সেই সময় তাঁর নগ্ন ভিডিয়োও তুলে রাখে ওই আত্মীয়া।
এর পর ওই আত্মীয়ার নির্দেশেই তাঁর বাবা- মা তাঁকে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করতেন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। কখনো হোটেলের ঘরে, কখনো বাড়িতেই তাঁর ঘরে পুরুষদের ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিতেন বাবা মা। এই ভাবে ৪ বছর নির্যাতিত হওয়ার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা।
আড়াই মাস আগে মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে তদন্ত শুরু করে ট্যাংরা থানা। কিন্তু অপরাধের স্থানগুলি তিনটি থানা এলাকায় ছড়িয়ে থাকায় পরে তদন্তের ভার নেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। দীর্ঘ তদন্তের পর সোমবার নির্যাতিতার মা – বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।