শুক্রবার সকালে মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি অফিসে যান পরেশ অধিকারী। এরপর দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এদিন পরেশ বলেন, ‘বাড়ি থেকে কাগজপত্র ও যে ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই ল্যাপটপই আজকে আমাদের সামনে খোলা হয়। সারাদিন এই কাজই চলল। মেয়েকেও ওই কথাই জিজ্ঞাসা করেছে। আরও যেসব নথি ওদের কাছে আছে তার কপি দেওয়ার কথা ছিল তা আজ দেয়নি। পরে হয়ত দেবে।’ এদিকে তাঁর এবং অঙ্কিতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘যখন সময় আসবে সবই বোঝা যাবে।’
উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারীকে এর আগে একাধিকবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেও এই প্রথম মেয়ে অঙ্কিতাকে জেরা করে ইডি। গতকাল সকাল ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে দেখা যায় পরেশ ও অঙ্কিতাকে। এরপর দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন তাঁরা। এর আগে গত সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসে হাজির হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। প্রায় চার ঘণ্টা পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি ফেরত নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, হাই কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর। বদলে নিয়োগ পেয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, কীভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই তলব করা হয় পরেশ অধিকারীকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরেশের যোগ কতটা ছিল? মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালীন এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির কী ভূমিকা ছিল? প্রভাব খাটনো হয়েছিল কিনা, শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে তিনি নিজে এই বিষয়ে কতটা অবগত ছিলেন... এ সব বিষয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে পরেশের থেকে।