হাতে এসএলআর। উদভ্রান্তের মতো পার্ক সার্কাসের রাস্তায় ঘুরছিলেন ওই পুলিশকর্মী। বাসিন্দাদের দাবি, স্থানীয় দুজন বাসিন্দার কাছে তিনি এক সহকর্মীর খোঁজ করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন এখানে কোন পুলিশ থাকেন না। এরপরই তিনি এগিয়ে যান কিছুটা। তারপরই বাসিন্দারা শুনতে পান একের পর এক গুলির শব্দ।
পুলিশ সূত্রে খবর ৫দিন আগে তিনি কলকাতা পুলিশের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে পোস্টিং হয়েছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম দিন ডিউটিতে এসেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি উত্তরবঙ্গে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কিয়স্কে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পার্ক সার্কাসের রাস্তার দিকে তিনি প্রথমে এগিয়ে যান। এরপর কিছুটা পিছিয়ে তিনি এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রায় ১৫-১৬ রাউন্ড গুলি তিনি করেন। এরপর ফের ইনসাসে তিনি অন্য একটি ম্যাগজিন ভরেন । এরপর ফের তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন। এবার নিজের গলা লক্ষ্য করে গুলি। রক্তে ভেসে যায় এলাকা। লুটিয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মী। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন বাসিন্দা।
তবে এখনও ঘটনার কথা মনে হতেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। তবে প্রশ্ন উঠছে কেন এই ধরনের এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন ওই পুলিশকর্মী? তবে কি মানসিক কোনও অবসাদে ভুগছিলেন তিনি? সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা হয়েছিল? সেকারণেই তিনি কিয়স্ক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। নাকি পোস্টিং নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি?