গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হল গড়িয়াহাট উড়ালপুলের নিচে অবস্থিত পার্কিং লট। অনেকেই এখানে গাড়ি পার্কিং করে কেনা কাটা করার পাশাপাশি অনেক অভিভাবক স্কুলে শিশুদের রাখার জন্য এই জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে থাকেন। ফলে এখানে পার্কিং বন্ধ থাকার ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়েছিলেন। পুনরায় এই পার্কিং লট চালু হওয়ায় স্বস্তি পেলেন গাড়ি চালকরা।
শনিবার এই পার্কিং লটের কিছু অংশ চালু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার উড়ালপুলের পুরোপুরিভাবে এই পার্কিং লটগুলি পুনরায় চালু করা হয়। এই পার্কিং লটে ৯০ টি গাড়িসহ একাধিক বাইক রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। মঙ্গলবার গড়িয়াহাটে যারা গাড়ি নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন তাঁরা পার্কিং লটটি চালু হওয়া দেখে বেজায় খুশি হয়েছেন। এক গাড়ি চালকের কথায়, ‘এই গত কয়েক সপ্তাহে যখন ফ্লাইওভারের নীচে পার্কিং লটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন গাড়ি পার্কিং করতে আমার অনেক অসুবিধা হয়েছিল৷’
প্রসঙ্গত, আগে যে সংস্থা এই পার্কিংয়ের দায়িত্বে ছিল সেই সংস্থাটি চুক্তি বাতিল করেছিল। লোকসানের কারণ দেখিয়ে তারা এই চুক্তি বাতিল করে দেয়। পুরসভাকে যে হারে অর্থ দেওয়ার কথা তা সংস্থাটি বহন করতে পারছিল না। সেই কারণে এই পার্কিং লট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে পার্কিং লটগুলি চালানোর জন্য নতুন একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরে এই পার্কিং লট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, এরফলে নাগরিকদের গাড়ি পার্কিং করতে আর সমস্যা হবে না।
পুরসভা পার্কিংয়ের যে নতুন রেট ঠিক করেছে তা এখনও কার্যকর না হওয়ায় এখানে পুরনো রেটেই পার্কিং ফি নেওয়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ দু চাকা গাড়ির জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা এবং চার চাকা গাড়ির জন্য প্রতি ঘণ্টায় ২০ টাকা করে পার্কিং ফি এখানে থাকছে। পুরসভার আধিকারিকরা জোর দিয়েছেন, যে সংশোধিত পার্কিং নিয়ে এখনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি তাই গাড়িচালকদের কাছ থেকে বেশি অর্থ সংগ্রহ করা বেআইনি। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।