ইডি গ্রেফতার করার পর প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন তা নিয়ে বারবার সংবাদমাধ্যমে খবর হযেছে। পা–কোমরে ব্যথা থেকে শুরু করে আলুর চপ–বেগুনি খেতে চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেও খবর হযেছে। কিন্তু জেল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন বেশিরভাগ সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলের হাসপাতালে ছিলেন। শনিবার তাঁকে দেখতে এসএসকেএম থেকে ৮ জন চিকিৎসকের একটি টিম গিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে।
ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি জেলে? সূত্রের খবর, গ্রেফতার করে ইডি পার্থকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে। ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা হয়নি। ওনার শ্বাস–প্রশ্বাসে সামান্য সমস্যা রয়েছে। আর কিডনিতে ক্রনিক কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরের ওজনও বেশি। এমনকী তাঁর যা ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। তারপর জেলেই কাটছিল পার্থের দিন। হঠাৎই তাঁকে জেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
তাহলে কী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পার্থ? জেলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। সিবিআই তাঁকে যেদিন গ্রেফতার করেছিল সেদিন জেলের টিভিতে সেই খবরে চোখ রেখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর নিজের সেলে চলে যান। আর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই ঘটনা দেখার পর একেবারে চুপ করে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একাকিত্ব এবং হতাশা গ্রাস করে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রকৃত কী সমস্যা হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্র মারফৎ এটুকু জানা গিয়েছে যে, তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এখন তাঁকে এসএসকেএমের চিকিৎসকরা দেখছেন।